সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি জেলায় দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে মাল্টা চাষ । ছোট বড় আকারে গড়ে উঠেছে মাল্টা বাগান এবং এই চাষের সাথে কেউ কেউ বাতাবী লেবু পেপে ও কমলা লেবুর চাষ হচ্ছে । ঝালকাঠি জেলার ৪ টি উপজেলায় এমন পর্যাপ্ত বাগান ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ২৬০
হেক্টরে মাল্টা চাষ হচ্ছে । এ বছর ৫০ হাজার ২০ মেট্রিক টন মাল্টা উৎপাদনের আশা করেছে কৃষি বিভাগ ।
এই জেলায় প্রধানত বারি -৩ জাতের মাল্টা চাষ হচ্ছে এবং এই জাতীয় ফল চেনার উপায় হচ্ছে ফলের গায়ের তলায় পয়সার মতো চিহ্ন রয়েছে । এ বছর ফলন ভালো হয়েছে । এই জাতীয় পুষ্টিকর রসালো মাল্টার হেক্টর প্রতি উৎপাদন সাড়ে ৫ মেট্রিক টন । জেলায়
চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদিত মাল্টা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ঢাকা – বরিশালে চালান হচ্ছে । মাল্টা চাষ সম্প্রসারিত হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে সকল স্তররে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে এসেছে ।
বর্তমানে বাজরে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে স্থানীয় এই জাতের মাল্টা বিক্রি হচ্ছে । ফরমালিন মুক্ত থাকায় মানুষের মধ্যে এই জাতের মাল্টার চাহিদা রয়েছে এবং বাগান থেকে এক শ্রেনীর বিক্রেতারা কিনে এনে ভ্যানে করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেছে । স্থায়ী দোকানগুলোর চেয়ে ভ্যানগাড়ীর দোকান থেকে এই জাতীয় ফল ক্রয়ের ক্রেতা বেশি ।
স্থানীয় কৃষকদের সাথে বিদেশে থেকে চাকরি শেষে এক শ্রেণীর মানুষ নিজ এলাকায় এসে বড় বড় বাগান করার ফলে মাল্টা আবাদ দ্রত সম্প্রসারিত হচ্ছে । কৃষি বিভাগ মাল্টাচাষ সহ সকল ধরনের ফল চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষন, উন্নতজাতের চারা বিতরণ ও সম্প্রসারনে
কৃষকদের অনুপ্রেরণা ও প্রযুক্তির সরবারহ করছে ।